রাজার পাহাড় শেরপুর ভ্রমণ গাইড (Rajar Pahar)
রাজার পাহাড় (Rajar Pahar) শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় ঢেউফা নদীর তীরে অবস্থিত একটি অপূর্ব পর্যটন কেন্দ্র । এই রাজার পাহাড় কে গিরে বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত থাকলেও প্রাচীন রাজ বংশের সম্ভ্রান্ত কোন রাজার অবস্থানের কারণে এই রাজার পাহাড় নামের সৃষ্টি তা বুঝতে মোটেও অসুবিধা হয় না। গারো পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু রাজার পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে শতাধিক হেক্টর সমতল ভূমি। আকাশ ছোঁয়া বিশাল রাজার পাহাড়ের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য প্রাকৃতিপ্রেমী ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকের নজর কাড়বেই।
রাজার পাহাড়ের কাছে রয়েছে রাবার বাগান বিজিবি ক্যাম্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন, বিট অফিস এবং কারিতাস। রাজার পাহাড়ের উপর হতে দূরের ভারতের মেঘালয়ের উঁচু পাহার সারির কিছুটা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। শ্রীবরদী উপজেলা সদর থেকে রাজার পাহাড় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে রাজার পাহাড় অন্যতম বিনোদন স্পট হিসাবে সুপরিচিত। অপরূপ প্রকৃতি সৌন্দর্য ও বাবেলাকোনায় আদিবাসী জনপদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জীবনধারা এখানে আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এছাড়া এখানে রয়েছে বাবেলাকোনা কালচারাল একাডেমি, যাদুঘর, লাইব্রেরী, গীর্জা, মন্দির এবং অসংখ্য প্রাকৃতিক নির্দশন।
কিভাবে যাবেন
রাজার পাহাড়ে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে শেরপুর (Sherpur) শহরে আসতে হবে। শেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোরা বাজার। শেরপুর হতে স্থানীয় বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা দিয়ে রাজার পাহাড় যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে প্রাইভেট কার, মাক্রোবাস, মিনিবাস কিংবা বাস রিজার্ভ নিয়ে সরাসরি মধুটিলা ইকোপার্কে যেতে পারেন। এছাড়া মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে ড্রিমল্যান্ড, আনন্দ, তুরাগ ইত্যাদি বিভিন্ন বাস সার্ভিসের বাসে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়ায় শেরপুর আসতে পারবেন। তবে এই সব বাস যাত্রাপথে অনেক স্টপেজে থামে তাই ঝামেলা এড়াতে শুধুমাত্র ড্রিমল্যান্ড স্পেশাল বাসে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় এসি/নন-এসিতে যেতে পারবেন।
ঢাকা টু শেরপুর বাস
সোনার বাংলা – যোগাযোগ ০১৭৭১-৫৫০০২০
সাদিকা – যোগাযোগ ০১৭১২১১৯১৮১, ০১৭৩৬৯৯০১৬১
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স – যোগাযোগ ০১৩০০৮২৩৫১৫
শেরপুর টেনিস ক্লাব – যোগাযোগ ০১৭৬১৭৯৭৯৭৭
এস এ ট্রাভেলস – যোগাযোগ ০১৭২৪১৯১১১৮
কালেক্টরেট কর্মচারী কল্যাণ সমিতি (শেরপুর-ঢাকা-শেরপুর) – যোগাযোগ ০১৭৫৫-৪১৮১৪৩, ০১৯১২-৫৬৭৫৩০
এসি ডিলাক্স – যোগাযোগ ০১৭৩৪১৯০৬৬৫
এসি সুপার ডিলাক্স – যোগাযোগ ০১৭২৯৫৯২২৯৪
শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা(এসি) (শেরপুর-ঢাকা-শেরপুর) – যোগাযোগ ০১৩১৩-৯৭০১২৯
বিআরটিসি(এসি) – যোগাযোগ ০১৭৫৮-৮৩৬৯৪৩
এফ জেড লাইন – যোগাযোগ ০১৭৩০-৪৮৩১৭১
মুন রাজ – যোগাযোগ ০১৭৫৫-৪১৮১৪৩, ০১৯১২-৫৬৭৫৩০
মনিমুক্তা – যোগাযোগ ০১৯১৬-৫৯৫১৫১, ০১৭২৫৩৭১৮১৯
সুপ্রিম নাইট/ডে কোচ – যোগাযোগ ০১৭৭৫-৪১৩৫৪১
কোথায় থাকবেন
সাধারণত ঢাকা ও শেরপুর আশপাশ থেকে দিনে এসে দিনেই রাজার পাহার দেখে ফিরে যেতে পারবেন। থাকতে চাইলে শেরপুর জেলা শহরে বিভিন্ন মানের বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও গেষ্ট হাউজে রয়েছে। এ সব হোটেলে ১৫০ থেকে ৫০০ ভাড়াই থাকতে পারবেন। শেরপুরে হোটেল গুলর মধ্যে সম্পদ, কাকলী , বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা অন্যতম। এছাড়া শেরপুরে সার্কিট হাউজ, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, এটিআই এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর পৃথক পৃথক রেষ্ট হাউজ রয়েছে।
শেরপুর আবাসিক হোটেল
শাহী খানা খাজানা – যোগাযোগ ০৯৩১-৬১৬৪৭
হোটেল শাহজাহান – যোগাযোগ ০১৯১১-৪১১৭৭১
সার্কিট হাউজ – যোগাযোগ ০৯৩১-৬১২৪৫
কাকলী গেষ্ট হাউজ – যোগাযোগ ০১৯১৪-৮৫৪৪৫০
আরাফাত গেস্ট হাউজ – যোগাযোগ ০৯৩১-৬১২১৭
হোটেল সম্পদ – যোগাযোগ ০১৭১২-৪২২১৪৫
হোটেল সাইদ – যোগাযোগ ০৯৩১-৬১৭৭৬
বর্ণালী গেস্ট হাউজ – যোগাযোগ ০৯৩১-৬১৫৭৫
কোথায় খাবেন
শেরপুর জেলা শহরে নিউ মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন মানের বেশ কিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে । এখান কার হোটেল গুলর মধ্যে হোটেল শাহজাহান, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে অন্যতম।
শেরপুরের দর্শনীয় স্থান
শেরপুরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মধুটিলা ইকোপার্ক, গজনী অবকাশ কেন্দ্র, পানিহাটা-তারানি পাহাড় ও মাইসাহেবা জামে মসজিদ অন্যতম।